বিএনসিসিতে যোগ্য ও আধুনিক প্রশিক্ষক চান প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন ও বিস্তৃত অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক এক উপস্থাপনা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান। উপস্থাপনাটি দেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।
সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবাই বিএনসিসির কার্যক্রমের পক্ষে, তবে এর গুণগত মান নিশ্চিত করা এখন জরুরি। সংগঠনের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে দক্ষ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল প্রশিক্ষকের ওপর। ভবিষ্যৎমুখী চিন্তাভাবনা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত রূপান্তর সম্ভব নয়।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বিএনসিসির ভিত্তি গড়ে উঠেছে আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর। তিনি উল্লেখ করেন, ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের উন্নয়ন ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করাও প্রয়োজন।
নারীদের সমান অংশগ্রহণের বিষয়েও জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিএনসিসি শুধু পুরুষদের জন্য নয়। মেয়েদেরও সমানভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সবাই নেতৃত্বের সুযোগ পায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বিএনসিসি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে তরুণদের জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় যুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।
অধ্যাপক ইউনূসের মতে, তরুণদের মধ্যকার ইতিবাচক নেতৃত্ব বিকাশ, দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরিতে বিএনসিসি একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে পারে।








