মাইলস্টোন ট্রাজেডি: ১১৪ দিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরল দুই শিক্ষার্থী

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে তাদের চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ মোট ৩৩ জন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।

আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা / চীন থেকে অস্ত্র ক্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২১ জুলাই ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়। চার মাস ধরে তারা আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সাইবার শরীরের ১০ শতাংশ এবং সাইরা জাহানের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে আরও ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুর্ঘটনার দিন, ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় মোট ৩৬ জন নিহত হন এবং ১২৪ জন আহত হন। দুর্ঘটনার তদন্তে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন-ত্রুটিই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা, মাঠে বিজিবি

এ ঘটনার পর স্কুল সম্প্রদায় এবং পরিবারগুলোকে দীর্ঘদিন মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দিতে হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে স্কুল নিরাপত্তা এবং বিমান পরিচালনার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়া গেছে।

১১৪ দিনের চিকিৎসার পর সাইবা জাহান সাইমা এবং সাইরা জাহান তাদের পরিবারে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসছেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘ চিকিৎসার পর সন্তানদের সুস্থ দেখার খুশি অজস্র কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে।