পে স্কেল নিয়ে বিকেলে বৈঠকে বসছে কমিশন, আসতে পারে সুপারিশ

নতুন সরকারি বেতন কাঠামো নির্ধারণের উদ্দেশ্যে আজ বিকেল ৩টায় জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে কমিশনের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করা হবে।
বৈঠকে এই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নতুন সুপারিশ তৈরি করা হবে। বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় বেতন কমিশনের সভাপতি জাকির আহমেদ খান।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানিয়েছে, নতুন পে স্কেলের খসড়া প্রস্তুতির অর্ধেক কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, যাতে নতুন কাঠামোর সম্ভাব্য রূপ, কার্যকর হওয়ার সময়সীমা এবং সুবিধাগুলো চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায়।
কর্মচারীরা বৈঠকের দিকে বিশেষ নজর রাখছেন। তারা আশা করছেন, বৈঠকের পর কমিশন তাদের সুপারিশ প্রকাশ করতে পারে। একই সঙ্গে তারা কমিশনকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করার আল্টিমেটামও দিয়েছেন।
কর্মচারীদের দাবী, সময়মতো সুপারিশ না আসলে কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন তারা। পাশাপাশি, পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের পরিকল্পনাও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকের ফলাফল সরাসরি সরকারি কর্মচারীদের আয় ও জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলবে। নতুন পে স্কেল বাস্তবায়িত হলে বেতন ও ভাতার ক্ষেত্রে সমতা এবং সরকারি খাতে কর্মসংস্থানের প্রণোদনা বাড়বে।
অন্যদিকে, সময়মতো সুপারিশ প্রকাশ না হলে সম্ভাব্য অসন্তোষ ও কর্মচারী আন্দোলন সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।








