সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের অবস্থান, কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও দাবি পূরণে সরকারের কোনো সাড়া না পেয়ে কঠোর আন্দোলনে নেমেছেন।
বিজ্ঞাপন
পেশাগত মর্যাদা ও বেতন–ভাতাসহ চার দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
শিক্ষক নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী রবিবার (৩০ নভেম্বরের) মধ্যে তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে সারাদেশে একযোগে সোমবার (০১ ডিসেম্বর) থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করবেন।
‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডভিত্তিক (ক্যাডার) পদসোপান অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষক অংশ নেন। শিক্ষক নেতারা ঘোষণা দেন, আগামী রোববারও তারা শিক্ষা ভবনে একই ধরনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
বিজ্ঞাপন
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মো. আব্দুস সালাম, আসাদুজ্জামান নূর, শাহাবুদ্দিন মাহমুদ সালমী, মো. ওমর ফারুক, মোছা. শাহিন আরা, সিকান্দার আলী, আবু সাঈদ মোল্লা, মুজাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল্লাহ, লিয়েন আল মাসুম, সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মো. মুনিরুল ইসলাম মঞ্জু, রাফি আহমেদ ও আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান।
শিক্ষকদের চার দফা দাবি হলো—
বিজ্ঞাপন
১. সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করা: সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রিপদ ধরে ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ।
২. শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত বাস্তবায়ন: বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার বিভিন্ন শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন।
৩. বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান: সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান।
বিজ্ঞাপন
৪. অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা পুনর্বহাল: ২০১৫ সালের পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের ৩/২টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করেও তারা পদোন্নতি ও অন্যান্য ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস মিললেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।








