জাতীয় গ্রিডে যোগ হলো ১২ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস

হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জাতীয় গ্রিডে নতুন করে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ কূপ থেকে মোট ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেডের উদ্যোগে এবং বাপেক্সের সহায়তায় সম্পন্ন এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞাপন
হবিগঞ্জ-৫ কূপটি ১৯৮৮ সালে খনন করা হয়। কূপটি তখন থেকে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছিল। কিন্তু উৎপাদন কমে আসায় গ্যাস সরবরাহও হ্রাস পায়। এই চাপ কমানোর ফলে ওয়ার্কওভার প্রকল্পের মাধ্যমে কূপটির উৎপাদন আবার বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেডের ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের অংশ হিসেবে তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপে ওয়ার্কওভার করা হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-৫ কূপের কাজ ২৪ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৭ নভেম্বর সম্পন্ন হয়।
বর্তমানে হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের মোট ১১টি কূপের মধ্যে সাতটি কূপ সক্রিয় রয়েছে এবং এসব কূপ থেকে প্রতিদিন মোট ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান জানান, ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে নতুন গ্যাসক্ষেত্র চিহ্নিত করে খনন কার্যক্রম চলমান। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে মোট ৫০টি কূপ খনন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে হবিগঞ্জ-৫ কূপও একটি। এ পর্যন্ত ২১টি কূপের কাজ শেষ হয়েছে, ২৯টি কূপের কাজ চলমান এবং চলতি মাসের মধ্যে আরও চারটি কূপের কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। পাশাপাশি পুরাতন কূপগুলোর ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা দেশের শিল্প-কারখানার কার্যক্রম সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।








