পদত্যাগ করেছেন দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই ছাত্র প্রতিনিধি—আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আসিফ মাহমুদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞাপন
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তাদের পদত্যাগের বিষয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবে।
সূত্রের আরও তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকে অংশ নেন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। সেখানে দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের প্রসঙ্গ আবারও আলোচনায় আসে। একই দিনে সরকারের দায়িত্বশীল মহল নিশ্চিত হয় যে আসিফ মাহমুদ পরদিনই পদত্যাগ করবেন।
প্রাসঙ্গিক সূত্রগুলো জানায়, গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দুই উপদেষ্টাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তারা আরও সময় চাইলে বিষয়টি স্থগিত থাকে। এর মধ্যে মাহফুজ আলম সরকার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে আগ্রহী ছিলেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পরে গত মাসের মাঝামাঝি পুনরায় তাদের পদত্যাগের জন্য তাগাদা দেওয়া হয়। সরকার–সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ছাত্র প্রতিনিধিদের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা উচিত নয়—তারা নির্বাচন করুক বা না করুক, নৈতিকতার জায়গা থেকে পদ ছাড়তে হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে তিনজনকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ ইসলাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় পান, আসিফ মাহমুদ প্রথমে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেও পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মাহফুজ আলম শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।








