আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা, পরে কি পরিবর্তন করা সম্ভব?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের আনুষ্ঠানিক তফসিল আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের রেকর্ডকৃত ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা চূড়ান্ত হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সিইসি তার ভাষণ রেকর্ড করেন। পরে কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে আজ সন্ধ্যাতেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ১৩ কোটি ভোটার ভোট দেবেন। তাদের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটের সময় এক ঘণ্টা বর্ধিত করা হয়েছে। ভোটের গতি বাড়াতে প্রতি কেন্দ্রে একটি কক্ষে দুইটি গোপন বুথ রাখা হবে।
এছাড়া প্রথমবারের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, প্রবাসী ভোটার এবং কয়েদিরাও আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
তফসিল ঘোষণার পর কি আর পরিবর্তন সম্ভব?
তফসিল একবার ঘোষণা হলে তা আর পরিবর্তন করা যাবে—এমন বাধ্যবাধকতা আইনেই নেই। বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসে একাধিকবার পুনঃতফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে:
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: শবেবরাতের কারণে ভোটের তারিখ এগিয়ে এনে পুনঃতফসিল করা হয়।
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন: রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে ভোটের তারিখ সাত দিন পিছিয়ে ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচন: সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চারবার তফসিল পরিবর্তন করা হয়েছিল।
অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কিংবা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে পুনঃতফসিল জরুরি হয়ে ওঠে।
বিজ্ঞাপন
তবে এবার পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব কম
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, এবার তফসিল পরিবর্তনের সুযোগ সীমিত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতেই হবে। সেক্ষেত্রে ভোটের সম্ভাব্য সময় ৮–১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারণ করা হতে পারে। ৬০ দিনের প্রস্তুতির নিয়ম মেনে তফসিল ঘোষণা করলে পরে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না বলেই মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংবেদনশীল প্রেক্ষাপটে আজকের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সবার নজর এখন নির্বাচন ভবনের দিকে।








