অবশেষে বাজল নির্বাচন-গণভোটের ঘণ্টা, হবে ১২ ফেব্রুয়ারি

দীর্ঘ সময়ের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমও এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হলো।
বিজ্ঞাপন
সিইসির ঘোষণায় জানা যায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। দেশের প্রায় ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতি হিসেবে এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ হবে ৪২,৭৬১টি কেন্দ্রে, যেখানে মোট ২,৪৪,৭৩৯টি ভোটকক্ষ থাকবে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ ১,১৫,১৩৭টি, এবং মহিলা ভোটকক্ষ ১,২৯,৬০২টি। দেশের মোট ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন, এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১,২৩৪ জন।
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন প্রতিটি উপজেলা ও থানায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দুইজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ ও নির্বাচনী প্রচারণার সময়সূচি বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান বিচারপতির খাসকক্ষ এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তফসিল সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করেন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ভোট কেন্দ্র ও আসনের প্রাথমিক প্রস্তুতি, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি, মনিটরিং সেল, আইনশৃঙ্খলা সেল এবং নির্বাচনী প্রজ্ঞাপনসহ মোট ২০টি নির্দেশনা জারি করা হবে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, নির্বাচনের দিন কোনও কেন্দ্র বা আসনে ভোট বন্ধ বা স্থগিত হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভোট সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া নতুন নির্বাচিত সরকারের গঠনও রমজানের আগে সমাপ্তির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এখন পর্যন্ত ১২টি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ৬ বার, বিএনপি ৪ বার এবং জাতীয় পার্টি ২ বার বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্যান্য কারণে সব নির্বাচন সম্পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি।








