‘ঐতিহাসিক এক বিদায়, সবার ভাগ্যে জোটে না’

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা। জানাজাকে ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব জনস্রোত।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
খালেদা জিয়ার বিদায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজায় জাতি তাকে সবচেয়ে সম্মানের বিদায় দিয়েছিল। আজ বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া হলো এক ঐতিহাসিক বিদায়।
বিজ্ঞাপন
জনস্রোত নিয়ে উপদেষ্টা লেখেন, মানিক মিয়া এভিনিউ-সংসদ ভবন দক্ষিন প্লাজা থেকে শুরু করে একদিকে সোবহানবাগ, অন্যদিকে কারওয়ান বাজার, আরেকদিকে বিজয় সরণী, শ্যামলী হয়ে এই যে জনতার স্রোত এটা বাংলাদেশের মানুষের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। এটা সবার ভাগ্যে জোটে না।
উল্লেখ্য, বুধবার ৩টা ৫ মিনিটে জানাজা শেষ হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
এতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা।
বিজ্ঞাপন
এদিন দুপুর ২টায় জানাজা শুরুর কথা থাকলেও ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে মানুষের বিস্তৃতি আশপাশের এলাকা বিজয় সরণি, খামারবাড়ি মোড়, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, শেরে বাংলা নগর, কলেজগেট, আসাদগেট ও শাহবাগসহ অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার দাফনের প্রস্তুতি চলছে
ভবনের ছাদ, ওভারব্রিজসহ যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভিড়ের চাপে অনেকেই নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে না পারায় জানাজায় অংশ নিতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় জানাজা এর আগে দেশবাসী দেখেনি।








