যেকোনো মূল্যে নাবিকদের ফিরিয়ে আনা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩ নাবিককে যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর
বিজ্ঞাপন
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩ নাবিককে যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি জাহাজটি এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। তবে ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। তাদের দ্রুত সুস্থতার সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।
বিজ্ঞাপন
দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।
জেবি/এজে