ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৪
ঈদুল আজহার আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সড়ক, নৌ এবং ট্রেন পথেও লক্ষ্য করা গেছে উপচেপড়া ভিড়। প্রতিবারের মত এবারও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে যাত্রী সাধারনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যানজট, পরিবহন সংকট, এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে এবারও ঈদ যাত্রা দুঃসহ হয়ে উঠেছে ঘরমুখো মানুষের কাছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানজটের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও গাড়ির অনেক চাপ এবং পর্যাপ্ত সড়ক ব্যবস্থাপনার অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: স্টার্টআপদের কল্যানে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
ঈদ যাত্রায় পরিবহনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাস এবং ট্রেনের টিকিট পাওয়া অনেকটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। বাস টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, কিছু অসাধু পরিবহন মালিক ও চালকরা এই সুযোগে বেশি ভাড়া আদায় করছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দিচ্ছেন।
সাখাওয়াত মিশু নামের এক যাত্রী বলেন, শুক্রবার সায়দাবাদ বাসস্টেশনে অনেক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনও গাড়িতে উঠতে পারিনি।
রিয়াদ মোর্শেদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাসের ভাড়া বেশি নিচ্ছে। ঈদে তো বাড়িতে যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়েই বাড়ি যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীপথে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। আর চাঁদপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল ও ভোলা যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। লঞ্চগুলোর কেবিন খালি নেই, এমনকি ডেকেও দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়।
মাহমুদুল হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় ঈদযাত্রা অনেকটা সহজ হয়েছে। তবে কোরবানির সময় মহাসড়কে পশু পরিবহনের জন্য ট্রাকের চাপ থাকে। এতে অনেক সময়ই দীর্ঘ যানযট তৈরি হয়। তবে নৌপথে এই ঝামেলা নেই।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা অঞ্চলের সোয়া দুই লাখ মানুষ বৃহত্তর বরিশালসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় যাবেন। এবারের ঈদযাত্রার সময় মাত্র চারদিন হওয়ায় নৌযান চলাচলে চাপ বেশি পড়বে।
আরও পড়ুন: কৃষি যত এগিয়ে যাবে, আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আরও বৃদ্ধি পাবে: খাদ্যমন্ত্রী
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার (১৭ জুন)। এ উপলক্ষে আগামী সপ্তাহের রবি, সোম ও মঙ্গলবার থাকবে সরকারি ছুটি।
এমএল/