নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন কোটা আন্দোলনকারীরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০২ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৪


নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন কোটা আন্দোলনকারীরা
ছবি: প্রতিনিধি

আল জুবায়ের: সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদ ও কোটা প্রথা বাতিলসহ ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে গণপদযাত্রা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠিত ঐ পদযাত্রার ফলে দীর্ঘ একঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগে যানচলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশেপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের এই পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট হয়ে সাইন্সল্যাব দিয়ে শাহবাগে গিয় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। 


আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ


এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ অবস্থান নিতে বারণ করলেও তা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা। 


বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে দীর্ঘ এক ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শেষে আগামী বুধবার ( ০৩ জুলাই) নতুন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শাহবাগ ত্যাগ করেন আন্দেলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর অন্যতম হাসনাত আব্দুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আগামীকাল ঢাবিসহ দেশের সব শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এছাড়া ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বুধবার সব শিক্ষার্থীরা জমায়েত হবেন। পরে সেখানে থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী দুইটা দিন আমরা মাঠে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকব এবং দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনটির এক সংগঠক বলেন, এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না, তবে অবস্থা কর্মসূচি এটা নিশ্চিত। এখন বিক্ষোভ সমাবেশ কিংবা মিছিলও হতে পারে।


আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালের আদেশ প্রত্যাহারে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম


সমাবেশে আন্দোলনকারী বলেন, গত ৯ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল, ৩০ জুনের মধ্যে যদি ১৮ সালের পরিপত্র বহাল না করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ পহেলা জুলাই থেকে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি আমরা। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা সারা বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে একই কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের মূল দাবি ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র বহাল থাকুক। এরপর যদি সরকার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য কোটার ব্যবস্থা করতে চায়, তবে সব স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে পারে যেখানে সর্বসম্মতিক্রমে কোটার পরিমাণ নির্ণয় করতে পারবে।


জেবি/আজুবা