সকল প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ২৫শে আগস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেছেন, শিশুর সুস্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার (শিশু দিবাযত্ন) সেন্টার স্থাপন করতে হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নূর জাহান বেগম বলেন, দেশে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার ক্রমেই কমছে, যা শিশুদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হলে পরিবার ও কর্মক্ষেত্র উভয় জায়গাতেই সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি।
তিনি জানান, আগামী বছরের মধ্যে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য কর্মস্থলে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলে কর্মজীবী মায়েরা কাজের পাশাপাশি সন্তানের পাশে থাকতে পারবেন এবং শিশু নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ পাবে।
আরও পড়ুন: দেশ এখন নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত: প্রধান উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, একটি মেধাসম্পন্ন ও সুস্থ জাতি গঠনে মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই। জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই শিশুকে শালদুধ খাওয়াতে হবে, কারণ এতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। পাশাপাশি প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং দুই বছর পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেন।
শহর ও গ্রামীণ জীবনের ভিন্ন বাস্তবতার কথা উল্লেখ করে নূর জাহান বেগম বলেন, শহরে কর্মক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা আর গ্রামে দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাব শিশুদের মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত করছে। তাই শুধু মায়েদের সচেতন করলেই হবে না, পরিবার ও সমাজকেও এই বিষয়ে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি যেদিন
ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মায়ের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি করতে হবে যে, মায়ের দুধই শিশুর প্রথম ভ্যাকসিন।
এএস