বাংলাদেশের কাঁচাপাট রপ্তানি হচ্ছে ১২টি দেশে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৭শে আগস্ট ২০২৫


বাংলাদেশের কাঁচাপাট রপ্তানি হচ্ছে ১২টি দেশে
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার দৌলতপুর মোকাম থেকে উৎপন্ন বাংলাদেশের কাঁচাপাট বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন ও পাট অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এই রপ্তানির মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, তিউনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ড।


অন্যদিকে, বেলজিয়াম, কিউবা, মিশর, এলসালভেদর, ইথিওপিয়া, জার্মানী, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালী, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, তানজানিয়া, জায়ার, রোমানিয়া ও ফিলিপাইনে বর্তমানে পাট রপ্তানি স্থগিত রয়েছে।


আরও পড়ুন: সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন


পাট ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১২টি দেশে কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছিল, যার মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে। এরপর নেপাল, পাকিস্তান, আইভরি কোস্ট, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি, ভারতের নিষেধাজ্ঞা, করোনা মহামারি ও ডলারের ওঠানামা পাট রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।


রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১ লাখ ১২ হাজার ৪০০ বেল পাট রপ্তানি হয়েছিল, যার আয় হয়েছিল ১,৯০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত সাত লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৯ বেল পাট রপ্তানি হয়ে ১,০৯৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার আয় হয়েছে।


আরও পড়ুন: আমাদের সময় বেশি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


গাজী জুট ইন্টারন্যাশনালের গাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পাট উৎপাদন মানসম্মত। তবে রপ্তানি বন্ধ থাকায় পূর্বের বাজার হারিয়েছে এবং পাটের বাজার কমেছে। তিনি আরও বলেন, আগে ভারতে সড়কপথে পাট যেতো, এখন জাহাজে পাঠাতে সময় বেশি ও ব্যয় বেড়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর মূল রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে কার্যকর।


বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ আকন্দ জানান, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার প্রায় ২৫ জন ব্যবসায়ী বর্তমানে কাঁচাপাট রপ্তানিতে নিয়োজিত এবং নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।


এএস