হাদিকে হামলায় ব্যবহৃত হোন্ডা হর্নেট, রিমান্ডে সুজুকি জিক্সারের মালিক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গত ১২ ডিসেম্বর হামলা চালানো হয়েছিল হোন্ডা হর্নেট মোটরসাইকেল থেকে।
বিজ্ঞাপন
হামলায় দুই আততায়ী রিকশা চলন্ত অবস্থায় তাঁর ওপর গুলি চালায়, যার একটি গুলি সরাসরি হাদির মাথায় লাগে। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়।

এই হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা ও নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে র্যাব-২ হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর শনাক্ত করে। ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৫ নম্বরের সুজুকি জিক্সার এসএফ মডেলের মোটরসাইকেল মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করা হয়।
তবে তদন্তে জানা গেছে, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আসলে হোন্ডা হর্নেট, যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ল ৫৪-৬৩৭৬। এই নম্বরের শেষ অঙ্ক ‘৬’, কিন্তু আটক করা হয় শেষ অঙ্ক ‘৫’ থাকা মোটরসাইকেলের মালিককে।
বিজ্ঞাপন

আব্দুল হান্নানের স্ত্রী পারভিন জানান, তার স্বামী কখনো হোন্ডা হর্নেট ব্যবহার করেননি। তিনি দীর্ঘদিন আগে সুজুকি জিক্সার এসএফ মোটরসাইকেলটি বিক্রি করেছিলেন, তবে আনুষ্ঠানিক মালিকানা পরিবর্তন হয়নি। এ কারণেই হান্নান জটিলতায় পড়েছেন।
বিআরটিএর উপ-পরিচালক এস এম কামরুল হাসান বলেন, দেশে সব ডিজিটাল নম্বর প্লেট বাংলায় দেওয়া হয়। অপরাধীরা কখনও প্ররোচিতভাবে নম্বর ইংরেজিতে ব্যবহার করতে পারে।
র্যাব-২ জানায়, হামলায় ব্যবহৃত এবং সন্দেহভাজন মোটরসাইকেলের মালিকানা যাচাই করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আব্দুল হান্নানের সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তিনি তিন দিনের রিমান্ডে ছিলেন।
বিজ্ঞাপন

এই ঘটনার মামলাটি পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান তদন্ত করছেন। হামলায় ফয়সাল করিমকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক, বান্ধবী এবং সহযোগীসহ কয়েকজনকে র্যাব ও বিজিবি আটক করেছে।
হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা ও নম্বরপ্লেটের জটিলতা, সিসিটিভি ফুটেজের অসঙ্গতি এবং রিমান্ডে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির অবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় মামলার তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনো চলছে।








