উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আম উৎপাদনকারীগণ অধিকতর লাভবান হবেন।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে, তাই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বিজ্ঞাপন
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ঠ সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ হতে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আম উৎপাদনকারীগণ অধিকতর লাভবান হবেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করতে আম রপ্তানি খুবই সম্ভাবনাময়। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার আম রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। আম রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে জানান হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে আম রপ্তানি উদ্বোধন করা হলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের প্রায় ১৮৯ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। আজকে ১৪ টি কনসাইনমেন্টে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্নপালি, ফজলী, সুরমা ফজলি, বারি-৪ জাতের রপ্তানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ৩৮টি দেশে ৩ হাজার ৯২ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








