যে ৩ সময়ে বান্দা দোয়া করলে, আল্লাহ কবুল করেনও খুশি হন

মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তাঁর দয়া অফুরন্ত যার কোনো অন্ত নেই। আর তাঁর রহমত অগণিত। রাব্বুল আলামিনের দয়ার সাগরে দুনিয়ার সব মানুষ, সব মহাশক্তি ডুব দিলেও বরকতে পরিপূর্ণ মণিমুক্তা পাবে, কিন্তু ইহার কোনো কূল পাবে না। কারণ, তাঁর দয়ার সাগরের গভীরতার নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। সৃষ্টির প্রতি তাঁর মায়ার কোনো পরিমাপ নেই।
বিজ্ঞাপন
দুনিয়ার সব মালিকের কাছে তার শ্রমিকরা একটু বেশি মজুরি চাইলে, সুবিধা চাইলে তারা নাখোশ হন। কেউ কেউ ক্ষিপ্ত হন। অনেকে আবার অবিচার-অত্যাচারও করেন। কিন্তু দু’জাহানের মালিকের প্যাটার্ন সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পাল্লা অতুলনীয়। তাঁর কাছে তাঁর গোলামরা যত বেশি চায়, তিঁনি তত বেশি দেন আর ঠিক ততটাই খুশি হন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, বান্দা তুই যত বেশি চাইবি, আমি তত বেশি খুশি হই। রহমতের দ্বার খুলে দিই। আমি পরম করুণাময়।
পবিত্র কুরআনের ভাষায়, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। আর যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে।’ (সুরা মুমিন : ৬০)।
আল্লাহর কাছে চাইতে হয় দোয়ার মাধ্যমে। নতচিত্তে। অবনত মস্তকে। রব্বেকা’বা ইরশাদ করেন, ‘আমি দোয়া কবুল করি, যখন সে আমার কাছে দোয়া করে (সুরা বাকারা : ১৮৬)।’ হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল।
বিজ্ঞাপন
দোয়া কবুলের নির্ধারিত কোনো মুহূর্ত নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা, ইশা থেকে ফজর- বান্দা যখনই আল্লাহর দরবারে হাত পাতে, তিঁনি সাড়া দেন। তবে, কিছু বিশেষ মুহূর্তে, বিশেষ দিনে আল্লাহ বান্দার মোনাজাত বিশেষভাবে কবুল করেন। রহমতের পেয়ালা ঢেলে দেন। নিচে দোয়া কবুলের বিশেষ ৩টি সময়ের কথা তুলে ধরা হলো—
১. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া
বিজ্ঞাপন
দোয়ার জন্য উত্তম একটি সময় হলো আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে করা দোয়া কখনোই প্রত্যাখ্যাত হয় না। (আবু দাউদ: ৫২১)
২. শেষরাতের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে (প্রথম আসমান) অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন, কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেব। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (বোখারি : ১০৭৯)
বিজ্ঞাপন
৩. ফরজ নামাজের পর দোয়া
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, একবার রাসুলে পাক (সা.) জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সা.) কোন দোয়া বেশি কবুল হয়? জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, শেষ রাতের মাঝে আর ফরজ সালাতের (নামাজ) পরে। (তিরমিজি : ৩৪৯৯)
বিজ্ঞাপন