টেকসই ব্যাংকিংয়ে পূবালী ব্যাংক শ্রেষ্ঠ

বাংলাদেশের আর্থিক খাত দ্রুত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলো শুধু লাভের সীমারেখায় আটকে নেই; বরং সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করছে। এই পরিবর্তনের ধারায় সবচেয়ে উজ্জ্বল নামগুলোর একটি হলো পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
বিজ্ঞাপন
তার নেতৃত্বে পূবালী ব্যাংক আর্থিক মুনাফার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ব্যাংকটি চালু করেছে গ্রিন ফাইন্যান্সিং উদ্যোগ, যার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব শিল্প এবং কৃষি খাতে বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিং সম্প্রসারণ ও কাগজবিহীন সেবার বিকাশ ব্যাংকের পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করেছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা অপরিহার্য। তাই পূবালী ব্যাংক গ্রিন ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব শিল্প এবং কৃষিখাতে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করছে। ডিজিটাল লেনদেন ও কাগজবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যাংকটি কাগজের ব্যবহার ব্যাপকভাবে কমিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
পূবালী ব্যাংক শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি সমাজ উন্নয়নেও এক নির্ভরযোগ্য সহযোগী। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা (এসএমই) সহায়তা খাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গ্রামীণ উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধি, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাংকের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। ব্যাংকটি তার প্রতিটি কার্যক্রমে নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বজায় রাখে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, নীতিমালা অনুসরণ এবং গ্রাহকের আস্থাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়ার ফলে পূবালী ব্যাংক আজ দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বিজ্ঞাপন
পূবালী ব্যাংকের এসব উদ্যোগ কেবল প্রশংসাই নয়, এনে দিয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক সম্মাননা। টেকসই ব্যাংকিং ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত এসব পুরস্কার দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, টেকসই উন্নয়ন কোনো একদিনের কাজ নয়; এটি একটি অবিরাম যাত্রা। পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে অটলভাবে এগিয়ে চলছি। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপই প্রমাণ করে আসল সফলতা শুধুমাত্র লাভে নয়, মানুষের কল্যাণে এবং পৃথিবীর সুরক্ষায় নিহিত।








