গণপূর্তের প্রকৌশলী খসরুর কালো টাকার খোঁজে দুদক

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল (ই/এম) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মালিক খসরুর বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পর প্রাথমিক যাচাই-বাছাই কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভিযোগে উল্লিখিত প্রকল্পসমূহে অর্থ বরাদ্দ, ব্যয়ের হিসাব, কাজের মান, ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নথিপত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযোগে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তথ্য যাচাইয়ের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রয়েছে।
এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভেতরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ঢাকায় লোভনীয় পোস্টিংয়ে থাকার বিষয়টি নিয়ে আগেও আপত্তি ছিল। সাম্প্রতিক অভিযোগের পর প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের দাবি উঠেছে।
সূত্রের দাবি, আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমে বারবার ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর ভূমিকা খতিয়ে দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রকল্পগুলোর টেকনিক্যাল অডিট ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মান যাচাই করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মালিক খসরুর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি কল রিসিভ করা হয়নি।
দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে প্রশাসনিক মহলে আশা করা হচ্ছে, চলমান অনুসন্ধানের মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতিবাজ যত শক্তিশালী হউক। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে গনপূর্তের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মালিক খসরুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছেন দুদক। তদন্ত দোষি হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞাপন








