ফাইনালে ভারতীয় বোলারদের পাত্তাই দিচ্ছে না পাক ব্যাটাররা

ম্যাচে সর্বাধিক আক্রমণাত্মক ছিলেন পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে তিনিই ইনিংসের শক্ত ভিত গড়ে দেন। ভরসা জাগাচ্ছিলেন, কিন্তু নবম ওভারের শেষ দিকে বরুন চক্রবর্তীর শিকারে পরিণত হন। পাকিস্তানের স্কোর তখন ৮৪/১। তবু তার ব্যাটে ইতোমধ্যেই ম্যাচের গতি পাল্টে যায়।

আরও পড়ুন: পরিসংখ্যানে ভারতের দাপট, শেষ যে দিন জিতেছিল পাকিস্তান

অন্য প্রান্তে অফফর্মে থাকা সাইম আইয়ুব ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। ৬ বলে ১১ রানে তিনি এখনো অপরাজিত। ফখর জামানও ২৬ রান করে আছেন ক্রিজে। দুই বাঁহাতির এই জুটি ভারতের বোলারদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে প্রতিটি বলে বলে রান নিয়ে।

ভারতের বোলাররা এ পর্যন্ত বড় কোনো সাফল্য পাননি। বুমরাহ, কুলদীপ কিংবা অক্ষর প্যাটেল কেউই খুঁজে পাচ্ছেন না পাকিস্তানি ব্যাটারদের আটকানোর সঠিক উপায়। দলের অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদবকে বারবার সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করতে দেখা গেছে মাঠে।

আরও পড়ুন: ২৫ পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন তামিম-বুলবুলসহ ৬০ প্রার্থী

এমন সূচনা পাকিস্তানকে দিয়েছে মানসিক দিক থেকেও বিশাল সুবিধা। হাতে ৯ উইকেট, বাকি ৯ ওভারের বেশি—মোহাম্মদ হারিস, সালমান আগা কিংবা শেষের দিকের পাওয়ার হিটাররা এখনো নামেননি। ফলে রান পাহাড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ভারত-পাকিস্তানের প্রতিটি ফাইনালই রোমাঞ্চে ভরা থাকে। তবে এবারের শুরুটা নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের দাপটেই লেখা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন একটাই—ভারতের বোলাররা কি ফিরতে পারবে, নাকি পাকিস্তান ছুড়ে দেবে অপ্রতিরোধ্য এক লক্ষ্য?