বিশ্বকাপের আগে নরওয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের শক্তিমাপ

আগামীকাল চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টি থাকবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও আর্লিং হালান্ডের লড়াইয়ে। ক্লাব ফুটবলের এই আলোচিত দ্বৈরথ খুব শিগগিরই দেখা যেতে পারে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও। কারণ, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চিত করেছে—২০২৬ বিশ্বকাপের আগে নরওয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
বিজ্ঞাপন
বাছাইপর্বে নরওয়ে দেখিয়েছে দাপটের ফুটবল। ৫৮ বছর পর বিশ্বমঞ্চে ফেরার পথে দলটি আট ম্যাচে করেছে ৩২ গোল, জিতেছে সব কটি ম্যাচ। হালান্ড একাই ১৬ গোল করে হয়েছিলেন বাছাইয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এমন দুর্দান্ত ফর্মের দলকে সামনে পেয়ে নিজেদের শক্তি যাচাই করতে চায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
ব্রাজিল দলের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রদ্রিগো কায়েতানো নরওয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি ভিজি-কে জানান। তাঁর ভাষায়, শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে। আমাদের পছন্দের তালিকা আছে, আর প্রথম পছন্দই হচ্ছে নরওয়ে—একটি খুবই শক্তিশালী দল।
নরওয়েজিয়ান ধারাভাষ্যকার আর্নে শেই মনে করেন, নরওয়ের ব্যতিক্রমী বাছাইপর্বের পারফরম্যান্স ব্রাজিলকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। ইতালির মতো দলের গ্রুপে থেকেও সরাসরি বিশ্বকাপে ওঠা এবং ইতিহাসে ব্রাজিলকে কখনো হার না মানার রেকর্ড—সব মিলিয়ে নরওয়ে ব্রাজিলের জন্য বড় পরীক্ষাই হবে।
বিজ্ঞাপন
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসও নরওয়ের পক্ষে।
১৯৮৮: প্রীতি ম্যাচ, ড্র ১–১, ১৯৯৭: নরওয়ের ৪–২ জয়, ১৯৯৮ বিশ্বকাপ: নরওয়ের নাটকীয় ২–১ জয়, ২০০৬: প্রীতি ম্যাচ, ড্র ১–১।
অপ্রতিরোধ্য নরওয়ের রক্ষণভাগ ও ধারালো আক্রমণভাগের সামনে ভালো খেলা ব্রাজিলের মনোবল বাড়াবে—বিশেষ করে ঠিক বিশ্বকাপের আগে এমন ম্যাচে।
বিজ্ঞাপন
২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ‘সি’ গ্রুপে ১৪ জুন খেলবে মরক্কোর বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ। অন্যদিকে নরওয়ে ‘আই’ গ্রুপে ১৬ জুন নামবে মাঠে; তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে প্লে-অফ থেকে।








