দার্জিলিং ভ্রমণে অবশ্যই ঘুরে দেখবেন যে ৭টি স্থান

তবে অনেকেই ভ্রমণে গেলেও দার্জিলিংয়ের গভীর সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন না। তাই দার্জিলিং ভ্রমণকে পূর্ণতা দিতে অবশ্যই ঘুরে দেখা উচিত ৭টি জায়গা।

চা-বাগান

দার্জিলিং মানেই বিখ্যাত চা। তবে শুধু স্বাদ নেওয়াই নয়, সবুজ চা-বাগানের ভেতর হাঁটাও এক অনন্য অভিজ্ঞতা। চাইলে ‘হ্যাপি ভেলী টী এস্টেট’ বা ‘মাকেইবারি টী গার্ডেন’-এ গিয়ে চা তৈরির প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যায়।

ঘুম মনাস্ট্রি ও হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট

শহরের প্রাণশক্তি শুধু প্রকৃতিতে নয়, সংস্কৃতিতেও। ঘুম মনাস্ট্রির শান্ত পরিবেশ আর বিশাল বুদ্ধমূর্তি ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। কাছেই রয়েছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যেখানে এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগে ও শেরপাদের স্মৃতি সংরক্ষিত।

আরও পড়ুন: বর-বধুর মধুচন্দ্রিমা মধুর হোক এই ছয় গন্তব্যে

স্থানীয় হস্তশিল্প বাজার

চৌরাস্তা ও নিউ মার্কেটে স্থানীয় হস্তশিল্পের অনন্য সমাহার দেখা যায়। কাঠের খেলনা, পশমি পোশাক কিংবা হাতের তৈরি সামগ্রী দেখে বোঝা যায় দার্জিলিং কেবল প্রাকৃতিক নয়, সংস্কৃতির শহরও।

পায়ে হেঁটে শহর ঘুরে দেখা

শুধু গাড়িতে চড়ে শহর দেখা দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্যকে পুরোপুরি উপলব্ধি করার সুযোগ দেয় না। মল রোড থেকে অবজারভেটরি হিল পর্যন্ত হাঁটলে পাহাড়ি জীবন, স্থাপত্য আর প্রকৃতির এক অনন্য সমন্বয় চোখে পড়বে।

টয় ট্রেন ভ্রমণ

ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা টয় ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা ভ্রমণকে করবে স্মরণীয়। কার্শিয়ং থেকে দার্জিলিং বা ঘুম পর্যন্ত যে কোনো রুটে টিকিট কেটে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: ঘুরতে গেলে বাজেট শেষ? যেসব টিপসে মিলবে সমাধান

টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয়

কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় সূর্যের প্রথম আলো পড়ার দৃশ্যটাই দার্জিলিং ভ্রমণের সেরা মুহূর্ত। ভোর ৪টার মধ্যে টাইগার হিলে পৌঁছাতে পারলে আপনি হবেন সেই অপরূপ দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী।

স্থানীয় খাবার

দার্জিলিংয়ের আসল স্বাদ লুকিয়ে আছে খাবারে। স্থানীয় থুকপা, মোমো ও নুডলস অবশ্যই চেখে দেখতে হবে। চাইলে মল রোডের রেস্টুরেন্ট যেমন ‘কোঙ্গা’ বা ‘সোনাম’স কিচেন’-এ ঢুঁ মারতে পারেন।

এই সাতটি অভিজ্ঞতা ছাড়া দার্জিলিং ভ্রমণ অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। তাই ভ্রমণ তালিকায় অবশ্যই এগুলো যুক্ত করুন।