পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁও জাদুঘর

দেশী-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। এটি লোকশিল্প জাদুঘর বা সোনারগাঁও জাদুঘর হিসেবে পরিচিত।
বিজ্ঞাপন
প্রাচীন গ্রামবাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অপরূপ নিদর্শন দর্শনীয় এই স্থানটিতে পর্যটকদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। ফলে ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে জাদুঘরকে আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্যালারি সংখ্যা বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাচীন যুগের নিদর্শন ও স্মৃতি দেখার লক্ষ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক মাত্র ৫০ টাকা মূল্যের প্রবেশ টিকিট কিনে জাদুঘরে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারছেন প্রাচীন নিদর্শন। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশে বিশেষ ছাড় রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শুধু দেশের নয় বিদেশি পর্যটকদেরও ভিড় করতে দেখা গেছে সোনারগা জাদুঘরে।পর্যটকদের জন্য জাদুঘরে সংগ্রহে রাখা প্রাচীন যুগের মানুষের কর্মকাণ্ড, রাজা-বাদশাদের পোশাক, অস্ত্রসহ ব্যবহারের জিনিসগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা।
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে অন্তত ৩০ হাজার দেশি পর্যটক এখানে ঘুরতে আসছেন। পাশাপাশি গড়ে ১ হাজারের মতো বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে। ফলে পর্যটকদের সুবিধার্থে এরই মধ্যে ১৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার বাস্তবায়ন হলে পর্যটকের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
ভ্রমণে আসা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি এলাকার সালমান মিয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এতদিন শুধু শুনেই আসছিলাম, আজ এসে বাস্তবে দেখলাম। এটার ভেতরের সৌন্দর্য দেখে বেশ ভালো লেগেছে। দারুণ উপভোগ করছি আমরা। আমার স্ত্রী রিয়া ও বেশ আনন্দিত।
বিজ্ঞাপন
ভ্রমনে আসা রিয়া বলেন, এখানে ঘুরতে এসে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের প্রাচীন বাংলার রাজধানী এখানে ছিল তাই এখানে এসে বিভিন্ন ইতিহাস জানতে পেরেছি ও প্রাচীন কালের অনেক নিদর্শন দেখতে পেরেছি।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার বলেন, সারাবছর আমাদের এখানে দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম থাকে। তবে শীতকালকে কেন্দ্র করে অক্টোবর হতে ফেব্রুয়ারি পর্যটক প্রচুর পরিমাণে পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। সেক্ষেত্রে বর্তমানে গড়ে প্রতিমাসে ৩০ হাজার দেশি ও ১ হাজার বিদেশি পর্যটক আসছেন। আমাদের এখানে তিনটি প্রদর্শনী গ্যালারি থাকলেও বড় সর্দার বাড়িসহ সংখ্যায় ৪টি রয়েছে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১২টি গ্যালারি নির্মাণ কাজ করছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ১৬০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প পেয়েছি। যার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি গ্যালারির কাজ চলমান রয়েছে, অডিটোরিয়াম হবে,পার্কিং সম্প্রসারণ, দর্শনার্থীদের ভাবনায় বৃহৎ একটি কাফেটেরিয়া নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি।








