ইমিগ্রেশনে বলবেন না যে ৭টি কথা, ভেস্তে যেতে পারে ভ্রমণ

আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ধাপ হলো ইমিগ্রেশন চেক। হাতে সব সঠিক কাগজপত্র থাকলেও অসাবধানতাবশত কিছু কথা বললে প্রবেশ বিলম্বিত হতে পারে, এমনকি ভিসা বাতিল হয়ে ভ্রমণই ভেস্তে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ইমিগ্রেশন অফিসাররা কয়েক মিনিটের মধ্যেই যাত্রীদের উত্তর বিশ্লেষণ করে থাকেন। তাই প্রতিটি উত্তর অত্যন্ত সতর্কভাবে দেওয়া জরুরি।
ভ্রমণকারীদের সচেতন করতে বিশেষজ্ঞরা সাতটি প্রসঙ্গ চিহ্নিত করেছেন, যা কখনোই ইমিগ্রেশন ডেস্কে বলা উচিত নয়।
‘আমি জানি না কোথায় থাকব’
বিজ্ঞাপন
ভ্রমণের আগে অবশ্যই হোটেল বুকিং বা স্বজন-বন্ধুর ঠিকানা প্রস্তুত রাখুন। পরিকল্পনাহীন থাকার ইঙ্গিত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হতে পারে।
‘আমি কাজ করতে এসেছি’ (ওয়ার্ক ভিসা ছাড়া)
বিজ্ঞাপন
ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক সফরের ভিসা নিয়ে কখনোই কাজের কথা বলবেন না। এটি সরাসরি নিয়ম লঙ্ঘন। যদি মিটিং বা কনফারেন্সে যোগ দিতে আসেন, স্পষ্টভাবে সেটি উল্লেখ করুন।
‘আমি অনলাইনে আলাপ হওয়া এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি’
অস্পষ্ট সম্পর্ক সন্দেহের জন্ম দেয়। এ ক্ষেত্রে আত্মীয় বা পরিচিত বন্ধুর নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
বিজ্ঞাপন
‘আমার কাছে ফিরতি টিকিট নেই’
ফেরত টিকিট না থাকলে ধরে নেওয়া হতে পারে আপনি দেশে অবৈধভাবে অবস্থান করতে চান। অন্তত একটি রিটার্ন বা পরবর্তী ভ্রমণের টিকিট রাখুন।
‘আমি পৌঁছে সব ঠিক করব’
বিজ্ঞাপন
অস্পষ্ট ভ্রমণ পরিকল্পনা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সন্দিহান করে তোলে। ভ্রমণপথ, সম্ভাব্য ট্যুর বা শহরের নাম অন্তত মৌখিকভাবে প্রস্তুত রাখুন।
অপরাধ, মাদক ও বোমা নিয়ে মজা
বিজ্ঞাপন
কোনো রসিকতাই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব প্রসঙ্গ তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ, আটক কিংবা জরিমানার কারণ হতে পারে।
‘আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই’
ভ্রমণের সময় আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করা জরুরি। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড বা নগদ অর্থ সঙ্গে রাখুন।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ভুল কথা না বললে ভ্রমণ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। ভুল উত্তর দিলে যাত্রীদের আলাদা কক্ষে নিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ, লাগেজ তল্লাশি এমনকি প্রবেশে বাধা দেওয়া হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
অতএব, ইমিগ্রেশনে আত্মবিশ্বাসী, স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত উত্তর দেওয়াই নিরাপদ ভ্রমণের প্রথম শর্ত।








