প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’তে উত্তাল সাগর, ৪ বন্দরে হুঁশিয়ারি

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘মোন্থা’। এর প্রভাবে সাগর অতি উত্তাল হয়ে উঠেছে, বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় বাতাস ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে বইছে। এ অবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৬টার তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১ হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞাপন
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘মোন্থা’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর অতি বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সতর্কভাবে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে না যেতে নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।








