ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে উধাও গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ!

বুধবার (২৯ মে) ঘটনাটি জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা গ্রাহক কেউই কোনো অভিযোগ করেননি।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখার লকার থেকেএকজন গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও হয়ে গেছে।
বুধবার (২৯ মে) ঘটনাটি জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা গ্রাহক কেউই কোনো অভিযোগ করেননি।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর সার্সন রোডের বেভারলি হিলস হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা রোকেয়া বারী। তিনি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার একটি লকারে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রেখেছিলেন। বুধবার তিনি তার লকার উন্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পান, এবং ভেতরে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের প্রায় সবই উধাও হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ড. মারজুক জানান, তার মা ২০০৭ সাল থেকে এই লকারে তার স্বর্ণালঙ্কার রেখে আসছিলেন। বুধবার দুপুর ১২টায় তিনি লকার দেখতে ব্যাংকে যান। লকারের আসল চাবি আমার মায়ের কাছে ছিল, আর নকল চাবি ছিল লকার ইনচার্জের কাছে। লকার রুমে ঢোকার পর তারা সেটি খোলা দেখতে পান, এবং আমার মা তাৎক্ষনিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন।
বিজ্ঞাপন
ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।”
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, “লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি