জামালপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের উপর আবারও হামলা

জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলা যেন সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তাহীন একটি উপজেলা
বিজ্ঞাপন
জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলা যেন সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তাহীন একটি উপজেলা। সারা বাংলাদেশের চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড এই বকশিগঞ্জেয় হয়েছিল, নাদিম হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হতে না হতেই আবারও এই উপজেলার সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের প্রাণনাশে ফের চড়াও হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) বকশীগঞ্জে সমকাল সাংবাদিক মাসুদ উল হাসানের উপর হামলা, মারপিট, ক্যামেরা ছিনতাই ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে পৌর শহরের রাসেল আমিন মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী আতিক মিয়া ও মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি এই হামলার ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনায় রাতেই নামীয় ৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসস্ট্যান্ড অফিস থেকে মোটরসাইলে যোগে বাসায় ফিরছিলেন সমকাল সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান। রাসেল আমিনের মার্কেটের সামনে পৌছাঁ মাত্র আগে থেকেই উৎপেতে থাকা একাধিক মামলার আসামী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি ও তার স্বামী আতিক মিয়া সাংবাদিক মাসুদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের সাথে স্মৃতির বাবা মজিবর মিয়া ও ভাই সজলসহ অজ্ঞাতনামা ভাড়াটে আরো ৪-৫ জন দুস্কৃতকারী ছিল। তারা সকলে সাংবাদিক মাসুদকে মোটরসাইল থেকে ফেলে দিয়ে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে তার তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আতিকের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে সাংবাদিক মাসুদকে হত্যার জন্য হাতে ও পিঠে আঘাত করে। এ সময় মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুবৃত্তরা।
বিজ্ঞাপন
পরে সাংবাদিক মাসুদের ডাকচিৎকারে পথচারী, সহকর্মী সাংবাদিক ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রাতেই বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান। সকল আসামীর গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন সকল সাংবাদিকরা।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় একাধিক মামলার আসামী স্মৃতি ও তার স্বামী আতিক সহ ৮-৯ জন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। গাড়ি ভাংচুর, ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। থানায় অভিয্গো দিয়েছেন। তবুও আসামীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়ন বলেন,সাংবাদিক মাসুদ একজন পেশাদার সাংবাদিক। তার উপর হামলাকারী আতিক ও স্মৃতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। প্রয়াত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মধ্যবাজার থেকে ধরে এনে নিজ বাড়িতে আটকে বেদম মারপিট করেছিল এই আতিক ও স্মৃতি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার একই কায়দায় তারা সাংবাদিক মাসুদের উপর হামলা করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর সাংবাদিক সরওয়ার জামান রতন এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
বকশীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই তারেক মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেয়েছি। আইনী প্রক্রিয়া চলমান। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








