Logo

৯ দিন পর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসলো মাছের বোট

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৩৪
40Shares
৯ দিন পর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসলো মাছের বোট
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাতের প্রভাবে ৯ দিন বন্ধের পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আবারো আসলো মাছের কার্গো বোট।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাতের প্রভাবে ৯ দিন বন্ধের পর কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আবারো আসলো মাছের কার্গো বোট।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইলিশ, রুই ও কাতল মাছের একটি কার্গো বোট মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর ঘাটে পৌছায়। সেখানে ১০৮ টন মাছ রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত সর্বশেষ গত ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমার থেকে মাছের কার্গো বোট এসেছিল। এরপর রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে টাউশিপ দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে নেয়। তখন থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বাণিজ্যে অধীনে টেকনাফ স্থলবন্দর কোন পণ্যের বোট আসেনি।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৯ দিন বন্ধের পর মিয়ানমার থেকে ১০৮ টনের একটি মাছের বোট এসেছে। সেখানে চারজন ব্যবসায়ীর মাছ রয়েছে। বোটে ইলিশ, রুই ও কাতল মাছ রয়েছে। এগুলো খালাস চলছে।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে  প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার, ধারাবাহিক সংঘাতের কারণে প্রভাব পড়েছে  আমদানি-রপ্তানিতে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে। আগের তুলনায় এখন বন্দর প্রায় অচল। গত ৯দিন পর  মিয়ানমার থেকে মাত্র একটি মাছের ট্রলার এসেছে। তার আগে গত শুক্রবার মাছ বহনকারী ট্রলার আসার পর আর কোনো পণ্যবাহী যান বন্দরে আসেনি। মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত না হলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিজ্ঞাপন

স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা জানায়, গত জুন-নভেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৮ হাজার ৮০০ টন নানা ধরনের পণ্য এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছিল ৭৮ হাজার ৫২৭ টন পণ্য। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পণ্য এসেছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২২৫ টন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে জুন-নভেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর হয়ে মিয়ানমারে পণ্য গেছে মাত্র ৩১০ কেজি। ২০২৩-২৪ অর্থবছর গেছে ১ হাজার ৪০৮ টন। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ টন পণ্য। 

তাদের মতে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কাঠ, হিমায়িত মাছ, শুকনা সুপারি, পেঁয়াজ, আদা, শুঁটকি, নারকেল, আচার প্রভৃতি পণ্য আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যায় আলু, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট, তৈরি পোশাক, বিস্কুট, চানাচুর, চিপস ও কোমল পানীয় ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘রাখাইনে চলমান যুদ্ধের কারনে সীমান্ত বাণিজ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রবিবার ভোরে মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে ১০৮ টনের একটি মাছের বোট এসেছে। এর মধ্য আমার ৩০ টন মাছ রয়েছে। তবে গত ৮ দিন ধরে মিয়ানমারের পণ্যের কোন ট্রলার আসেনি।’

এসডি/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD