নাসিরনগরে ১৬০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভিজিডি ও ভিজিএফ (খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি) এর জন্য বরাদ্দকৃত ১৬০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার গৌড় মন্দির এর পাশে একটি দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত এ চাল গোপনে মজুত করে রাখা হয়েছিল অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাসরিন এবং উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকারি চাউল ও চাউলের সরকারি খালি বস্তা সহ একটি ওজন মাপার মিটার, বস্তা সেলাইয়ের মেশিন উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি কক্ষে সংরক্ষণ করা হয়।
অভিযান শেষে ইউএনও শাহীনা নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে সরকারি চাল আত্মসাৎ করা এক ধরনের অপরাধ। সরকারি চাল আত্মসাতের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ১৬০ বস্তা চাউল এবং অনেকগুলো খালি বস্তা উদ্ধার করেছি, এই ঘটনায় জড়িত আশুরাইল গ্রামের মো. মোনায়েম মিয়া(৪৫), পিতা- মৃত নূর ইসলাম দোকানের কার্নিস ভেঙ্গে পালিয়ে গেছে, ঘটনাস্থল থেকে আমরা ২ জন শ্রমিক কে আটক করেছি। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই চাউল অনেক পুষ্টি ও মানসম্পন্ন, যা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা কিন্তু তারা কিভাবে এত চাউল সংগ্রহ করেছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা, মো. মনিরুল ইসলাম বলেন ‘নাসিরনগর উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালু আছে, এই কর্মসূচির আওতায় গরীব ও দুস্তদের মাঝে চাউল বিতরণ করার জন্য ২৬জন ডিলার আছেন, তারা তাদের বরাদ্দকৃত চাউল খাদ্য গুদাম থেকে বুঝে নিয়ে যায় এবং এই চাউল প্রকৃত উপকারভোগী কার্ডধারীদের যথাযত নিয়মে বিতরণ করা হয়। আমরা এই অভিযানে চাউলের মালিক কে পাইনি।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পারভেজ মিয়া বলেন, অসাধু একটি মহল নিয়মিত সরকারি চাল ও ত্রাণ আত্মসাৎ করে। এর ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা প্রশাসনের কাছে অনিয়মকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রশাসনের এ অভিযানে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে আশা করছেন, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান চালানো হলে ভবিষ্যতে কেউ আর সরকারি ত্রাণসামগ্রী আত্মসাতের সাহস দেখাবে না।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন