খাগড়াছড়িতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার নিয়ে সচেতনতা সভা

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার ও নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে “আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, দীঘিনালা উপজেলা” এর আয়োজনে এবং তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র বাস্তবায়নে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভাস্থলে ঝুলানো বিভিন্ন পোস্টারে লেখা ছিল— “নির্বাচন ভোটাধিকার মুক্তপাক, বাংলাদেশ এগিয়ে যাক”, “টাকার বিনিময়ে ভোট দেওয়া মানে দুর্নীতির বীজ বপন করা”, “নারী কিংবা পুরুষ নয়, ভোটার আমার পরিচয়”— ইত্যাদি সচেতনতামূলক বার্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আঞ্চলিক (চাকমা) ভাষায় পাঁচ সদস্যের একটি দল সচেতনতা নাটিকা পরিবেশন করে, যা উপস্থিত সবার প্রশংসা কুড়ায়।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইনামুল হাছান। তিনি বলেন, “যুবকরাই সমাজ, জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। পরিবর্তন ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তরুণ সমাজ। জাতীয় নির্বাচনেও যুবরাই যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য ও দীঘিনালা প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আস্থা ইয়ুথ গ্রুপের আহ্বায়ক হাসান মোর্শেদ রিফাত এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্য।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা-আস্থা প্রকল্পের ফিল্ড অ্যাসোসিয়েট পপেন ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর ধনেশ্বর দেওয়ান, যিনি প্রকল্পের লক্ষ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভা শেষে প্রথমবারের ভোটার ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ভোটাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নয়টি উপজেলায় তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা “আস্থা” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি উপজেলায় ৩০ সদস্যের একটি করে ইয়ুথ গ্রুপ গঠন করা হয়েছে, যারা নিয়মিতভাবে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।