স্ত্রীকে হত্যার ১১ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মধুখালী যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- মো: ইমরান ফকির (৩৩)। তিনি মধুখালী উপজেলার উলুহাট গ্রামের বাসিন্ধা। রায় ঘোষণার সময় ইমরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাকে পুলিশি পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত দিলরুবা বেগমের (২০) বাড়ি মধুখালী উপজেলার দেউল মথুরাপুর গ্রামে। তার বাবা মো: দেলোয়ার হোসেন ২০১৪ সালের ৬ আগস্ট মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে তার মেয়ে দিলরুবাকে এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে হত্যা করে। খবর পেয়ে দেলোয়ার হোসেন মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বারান্দায় তার লাশ দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, সকল আলামত এবং সাক্ষীদের জবানবন্দী পর্যালোচনা করে আদালত নিশ্চিত হন যে অপরাধটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এরই ভিত্তিতে আদালত এই রায় দেন।