পদ্মার দুপাড়ে অবাদে চলছে ইলিশের বেচাকেনা

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক তোরজোরের কথা বলা হলেও পদ্মারপাড়েই প্রকাশ্যে চলছে ইলিশের বেচাকেনা। পদ্মার দুপাড়ে অন্তত ১০টি অস্থায়ী মৎস্য আড়ত বসিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মা ইলিশের বেচাকেনা চলছে। ভেসতে যেতে বসেছে মা ইলিশ রক্ষায় সকল সরকারের উদ্যোগ।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়ার ছুরিরচর বেপারী বাজারের দক্ষিণ পাশে নদীর পাড়ে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লালমিয়া বেপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যবসায়ী মিলে একটি অস্থায়ী মাছের আড়ত গড়ে তুলেছেন। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা এখানে মা ইলিশের বেচাকেনা চলছে।
এছাড়া দুলারচর ভাঙাস্কুল এলাকায় ৪-৫ জন ব্যবসায়ী মিলে একটি অস্থায়ী আড়তে মা ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। উত্তর তারবুনিয়ার মোল্যার বাজারে ঘাটে সুমন প্রদানীয়াসহ ১২ জন মিলে অস্থায়ী মৎস্য আড়ত বসিয়ে মাছ বেচাকেনা করছে।
বিজ্ঞাপন
দুলারচর মনাইহাওলাদারের বাজারের সাবেক লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার পাড়ে গড়ে উঠেছে আরও একটি অস্থায়ী মাছের আড়ত। কাচিকাটার বিভিন্ন পয়েন্টে ছোটবড় বেশ কয়েকটি অস্থায়ী মাছের আড়ত বসেছে। এসব আড়তে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। এদিকের জেলেদের সঙ্গে প্রশাসনে চলছে চোর পুলিশ খেলা। শতশত জেলে নদীতে জাল ফেলছে। প্রশাসনের কাউকে দেখলেই জাল ফেলে পাড়ে অবস্থান করছে। সুযোগ পেলেই জাল তুলে পদ্মার পাড়ে সেই মাছ অস্থায়ী আড়তে বিক্রি করছে।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লালমিয়া বেপারী বলেন, আশা ছিল মা ইলিশের সময় ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু নদীতে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি একা না এখানে যারা ব্যবসা করে সবার অবস্থা খারাপ।
উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৎস্য ব্যাবসায়ী সুমন প্রধানীয়া বলেন, ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ নদীতে মাছ নাই। জেলেরা নদীতে যেতে পারে না। লোকসানে আছি।
বিজ্ঞাপন
জেলে আল আমিন ও আনিসুর বলেন, এ সময় ২২ দিন তো আমরা কোনো কাজ করি না। সরকার ২০ কেজি চাল দিলে তো আমাদের সংসার চলে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই জাল ফেলি।
সখিপুর থানা বিএনপির সভাপতি ও কাচিকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কে বিএনপি কে জামাত করে এটা কোন মুখ্য বিষয় না। যদি বিএরপির কেউ অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত হয়৷ বিএনপি তার দায় নেবে না। আমরা প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করব।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ভাই প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। জাল জব্দ করছি। তবে আপনি যে আড়তে কথা বলেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।