চট্টগ্রামের আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। টানা চার ঘণ্টার চেষ্টার পরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ও নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
এর আগে (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ওই এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অ্যাডামস তোয়ালে ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউন তৈরির কারখানা। কারখানার ভবনটি সাত তলার। দুটি কারখানার গুদামই সাত তলায়, যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘন কালো ধোঁয়ায় চারপাশ ছেয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা আগুন নেভাতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। আগুন ধীরে ধীরে ছয় ও পাঁচতলায় ছড়িয়ে পড়ছে। এ সময় আশপাশে ভিড় জমে যায়, যাদের সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ায় আহত এক নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সিইপিজেড সূত্র জানায়, ভবনটিতে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাঁদের কেউ আহত হননি বলে জানান চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান।
বিজ্ঞাপন
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, আগুন লাগার পরপরই শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ নিহত হয়নি।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, ‘যেখান থেকে আগুন লাগে সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ। দুপুরে খাওয়ার পর হঠাৎ ‘আগুন, আগুন’ চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে নিচে নেমে আসি।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। কারখানার মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই।