যেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হলো আলোচিত সেই পর্ন-তারকা যুগলকে

বান্দরবান থেকে বাংলাদেশের পর্ন কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে পরিচিত এক যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন খান।
গ্রেপ্তারের আগে এই যুগলের বিরুদ্ধে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইটে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ পরিচয়ে তুলে ধরতেন এবং বিশ্বের একটি বড়সড় প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতেন।
বিজ্ঞাপন
গত ১৭ অক্টোবর অনুসন্ধানমূলক প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই যুগলের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে তারা অনলাইনে সক্রিয় এবং এক বছরের মধ্যে শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেন।
তারা শুধু একটি নয়, একাধিক অনলাইন মাধ্যমে কনটেন্ট ছড়িয়ে দিতেন। পাশাপাশি টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম চালাতেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু হয়, যেখানে হাজারো সদস্য রয়েছেন। চ্যানেলটিতে তারা নতুন ভিডিওর লিংকসহ উপার্জনের তথ্যও শেয়ার করতেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশজুড়ে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সিআইডি এখন এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
তিনি জানান, ওই দম্পতি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্ন কনটেন্ট আপলোড করতেন। তাদের পরিচালিত চ্যানেলটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্ন সাইটগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষস্থানে উঠে আসে।
বিজ্ঞাপন
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি, প্রচার ও বিতরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সিআইডির মতে, তারা শুধু আইন লঙ্ঘনই করেননি, বরং অন্যদেরও একই পথে উৎসাহিত করছিলেন, যা দেশে বসে পর্ন ভিডিও তৈরি ও ছড়িয়ে দেওয়ার একটি নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় এই দুই যুগলের বিষয়টি সামনে আনে।
বিজ্ঞাপন