বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে গণধোলাই

গাজীপুরের শ্রীপুরে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে মাওনা চৌরাস্তা জেলা পুলিশ বক্সে আটকে রেখে বিক্ষোভ করে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খায়, পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে নিলে মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
আটক মাদ্রাসা শিক্ষক মো: মহসিন (৩৫) নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার কাচুটিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় দারুণ হিকমাহ্ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ওই মাদ্রাসার নুরানীতে অধ্যয়নরত ১২ বছর বয়সী শিশুকে বলাৎকারে অভিযোগ আনেন ওই শিশুর পরিবার।
বিজ্ঞাপন
শিশুর বাবা জানান, তার ১২ বছর বয়সী শিশু মাদ্রাসার আবাসিকে থেকে নুরানী বিভাগে পড়াশোনা করছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) কোনো এক সময় মাদ্রাসার ভেতরে শিশুটিকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। বিকেলে শিশুর দাদা মাদ্রাসায় গেলে ছুটি নিয়ে বাড়ি যায়। পরে বিষয়টি দাদা ও বাবাকে জানালে তারা মাদ্রাসার গিয়ে গণধোলাই দেন। পরে সন্ধ্যায় তারা শিক্ষককে মাদ্রাসায় মাওনা চৌরাস্তার পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।
সেখানে গেলে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে প্রথমে শ্রীপুর থানা পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রাত ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন।
মাদ্রাসা শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক।








