মাটি খুঁড়তেই বের হলো পিতলের হাড়ি, মিলল ১৯টি ভারতীয় রুপি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সলেমানপুর উত্তরপাড়ায় মাটি কাটতে গিয়ে মিলেছে শতবর্ষ পুরোনো ভারতীয় রুপির মুদ্রা। এ ঘটনায় এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতূহল।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা সামেদ আলী (পিতা মৃত আবুবকর) নিজের ভিটে মাটি কাটতে গিয়ে একটি পিতলের হাড়ির মধ্যে এসব প্রাচীন মুদ্রা আবিষ্কার করেন। মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন প্রাচীন এই নিদর্শন দেখার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিতলের হাড়িতে পাওয়া মুদ্রাগুলোর গায়ে ১৯০৪ থেকে ১৯১৮ সালের ছাপ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো বৃটিশ ভারতের সময়কার রুপির মুদ্রা। প্রতিটি মুদ্রায় তৎকালীন কোনো ব্রিটিশ রাজা বা সম্রাটের প্রতিকৃতি খোদাই করা ছিল, তবে দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকার কারণে তা এখন অনেকাংশে ক্ষয়প্রাপ্ত।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতে, এসব মুদ্রা সম্ভবত সলেমানপুরের তৎকালীন জমিদার সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের সময়কার, যিনি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতে চলে যান। সে সময় এই অঞ্চলে জমিদাররা খাজনা ও লেনদেনে এমন রুপির মুদ্রাই ব্যবহার করতেন।
খবর পেয়ে খোসালপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
বিজ্ঞাপন
মহেশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হান্নান জানান, মোট ১৯টি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন প্রায় ১৮ ভরি।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো বৃটিশ আমলের ভারতীয় রুপির মুদ্রা, যা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সংগ্রহযোগ্য হতে পারে। বিষয়টি বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।’
এই ঘটনায় এলাকায়জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র আগ্রহ ও আলোচনা। স্থানীয়দের অনেকে মনে করছেন, এটি শুধু একটি আকস্মিক আবিষ্কার নয়—বরং মহেশপুরের অতীত ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসের একটি মূল্যবান প্রমাণ। তারা চান, এই ঐতিহাসিক নিদর্শন সরকারিভাবে সংরক্ষণ করে স্থানীয় জাদুঘর বা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই অঞ্চলের ইতিহাস জানতে পারে।








