লালমনিরহাটে ছাত্রলীগসহ ১৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

লালমনিরহাটে গত দুই দিনের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ১৭ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১ ও ১২ নভেম্বর এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বের সন্ত্রাসবিরোধী ও নাশকতা আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ (ওসি) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার পাঁচ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে ৪ জন, পাটগ্রাম থেকে একজন, হাতীবান্ধা থেকে ৬ জন, কালীগঞ্জ থেকে দুইজন এবং আদিতমারী উপজেলা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল: পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা। মো: আলমগীর হোসেন (৩৭): আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের। মো: আজিজুল ইসলাম (৪৮): কালীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক। নারায়ন রায়, লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। গোলজার হোসেন: তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য। মো: জাহেদুল ইসলাম (৪৩): সদর উপজেলার হারাটী ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী। মো: সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেরা (৪০): সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী। মো: আবু সাইদ বসুনিয়া (৪৮) হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এদের সংশ্লিষ্টতা এবং মামলা রয়েছে। তাই তাদের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী বলেন, আমি চারজন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আইনের কাছে তারা আসামী, তারা কোন সংগঠনের তা আমি বলতে পারব না।
বিজ্ঞাপন
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো: তরিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, যারাই অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে








