রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যা: গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন

রাজশাহীতে নিজ বাসায় খুন হওয়া বিচারকের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৪) গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এক পায়ের আঙুলও কাটা অবস্থায় ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরের ডাবতলা এলাকায় মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায়। নিহত সুমন রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, হামলাকারী লিমন মিয়া (৩৫) একটি ব্যাগ নিয়ে বাসায় ঢোকে এবং বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের (৪৪) সঙ্গে ডাইনিং টেবিলে বসে কথা বলছিল। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ব্যাগ থেকে ছুরি বের করলে তাসমিন দৌড়ে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। লিমন ১০-১৫টি লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় পাশের কক্ষে ঘুমন্ত সুমন শব্দ শুনে জেগে উঠে। কাজের মেয়ে তাকে বিষয়টি জানালে সুমন ঘরে গিয়ে লিমনকে আটকানোর চেষ্টা করে। পুলিশের ধারণা, এরপর ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করা হয়। এদিকে কাজের মেয়ে বাইরে গিয়ে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে খবর দেন।
হামলায় তাসমিন নাহারের পেটে ও ঊরুতে ছুরিকাঘাত হয়। হামলাকারী লিমনের হাত, মাথা ও পায়েও জখম রয়েছে। তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
আহত তাসমিন নাহার ও লিমন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
রামেকের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, তাসমিনের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে লিমনের জ্ঞান ফিরলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হত্যার পূর্ণাঙ্গ কারণ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।








