Logo

পারিবারিক শাক-সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে ৮ মডেল কৃষি

profile picture
মো. রুবেল হোসেন
২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭:১১
25Shares
পারিবারিক শাক-সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে ৮ মডেল কৃষি
ছবি: সংগৃহীত

'স্মার্ট কৃষক, স্মার্ট কৃষি' স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প বসতবাড়িতে শাক-সবজি চাষে খাদ্য চাহিদা মেটাতে অনেক গুলো কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ২৫৩.৬০ লক্ষ বসতবাড়ি রয়েছে, যার পরিমাণ ৫.৪০ লক্ষ হেক্টর।

বিজ্ঞাপন

দেশের বসতবাড়ির গড় আয়তন ০.০২ হেক্টর। এর মধ্যে প্রকল্পটি বসতবাড়িতে পুষ্টি বাগান সৃজনের লক্ষ্যে কালিকাপুর, গায়েশপুর, লেবুখালী, কলাপাড়া, আট কপালিয়া, রংপুর, ফরিদপুর ও বরেন্দ্র মডেল তৈরি করেছে। যার সুফল ইতিমধ্যে স্থানীয় কৃষক পেতে শুরু করেছে।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে হলে ব্যাপকভাবে মুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন, শস্যের বহুমুখীকরণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। বসতবাড়িতে পুষ্টি বাগান সৃজনের মাধ্যমে অল্প খরচে পরিবারের সকল সদস্যের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নরসিংদী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, যশোর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পুষ্টিবার্তা-১ অনুযায়ী প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বা মহিলা দৈনিক গড়ে ১০০ গ্রাম শাক এবং ২০০ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে সবজি গ্রহণ মাত্রা মাত্র ১২৫ গ্রাম।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানায়, এলাকার উপযোগিতা অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল অনুসরণ করে বসতবাড়িতে সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি উৎপাদন করার কাজ সম্প্রসারণ করছে। এতে সারা বছরে তিন মৌসুমে ২৫-৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতিটি বসতবাড়িতে ১ (এক) বছরে মোট সবজি উৎপাদন করা যাবে ৩৫০ থেকে ৪০০ কেজি। কেজি প্রতি বাজারমূল্য ৫০ টাকা হাল মূল্য হিসেবে প্রতি পরিবারের অর্থনৈতিক সাশ্রয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা হাতে ২০ হাজার টাকা। এতে পারিবারিক পুষ্টি নিরাপত্তা আর্ত্ম সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পযর্ন্ত দেশের ১৬ জেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারের উদ্যোগ নেয় সরকার। ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় শতকরা ২ শতাংশ শস্য নিবিড়তা অর্থাৎ ১৭৬ থেকে ১৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। এর লক্ষ্য প্রকল্প এলাকার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং কমপক্ষে ১২টি জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় সেচের পানি ব্যবহার দক্ষতা শতকরা ৫০ শতাংশ সাশ্রয়ী করা। প্রকল্প এলাকায় প্রতিবছর ১২০ টন দানাদার বীজ, ৪০ টন ডাল জাতীয় ফসলের বীজ এবং ৪০ টন তেল জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।

জেবি/আরএক্স
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD