বোরো ধান রোপণে শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধি, চিন্তায় কৃষক

তাহিরপুরে শ্রমিক সংকটের কারণে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে বোরো চাষীদের। বর্তমানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে হচ্ছে একজন শ্রমিককে। ফলে জমি রোপণের আগেই কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়ছেন উৎপাদন ব্যয় নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার শনি, মাটিয়ান, পানা, আঙ্গারুলি, দরুন হাওরসহ ২৩টি ছোট বড় হাওরে ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়। হাওরে সপ্তাহ খানেক পূর্ব থেকে বোরো ধান রোপণ মৌসুম শুরু হয়েছে।
শুরুর দিকে এক দু’দিন শ্রমিক মজুরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা ছিল। গত ৩ দিন ধরে হঠাৎ করে এক লাফে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দৈনিক মজুরি হওয়ায় বোরো ধান রোপণ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন হাওর পারের কৃষক। না পারছেন জমি পতিত রাখতে না পারছেন বেশি মূল্যে জমি রোপণ করতে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ভূমি অফিসে চুরি
বিজ্ঞাপন
বুধবার সরজমিন শনি হাওর উজান তাহিরপুর এলাকায় দেখা যায়, কেউ জমি চাষাবাদ করছেন, বোরো ধানের হালি চারা আটি বেধে জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় কথা হয় শনির হাওর পার উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক নুরুল আবেদীনের সঙ্গে।
তিনি জানান, গত বছর থেকে এ বছরে ২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে রোপণ শ্রমকিদের। গত বছর ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে শ্রমিক পাওয়া যেত এবার ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা শ্রমিক মজুরি দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় না পারছি জমি রোপণ করতে না পারছি জমি পতিত রাখতে।
মাটিয়ান হাওর পার বড়দল বাগবাড়ি গ্রামের কৃষক বশির আহমেদ বলেন, বীজ ধান কেনা থেকে শুরু করে, বীজ বপন, আজমি চাষাবাদ, বচারা সংগ্রহ, রোপণ শ্রমিক, সার, কীটনাশক, সেচ ও বৈশাখ মাসে ধান কাটা পর্যন্ত বছরে বছরে ব্যয় বাড়ছেই। এ বছর রোপণ শ্রমিকের মজুরিও বাড়ছে। ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীমা বেগম বলেন, একাধিক কৃষক জানিয়েছেন এ বছর শ্রমিক মজুরি বেশি হওয়ার কারেন অনেকেই বোরো ধান উৎপাদন ব্যয় মিঠাতে হিমশিম খাবেন। জমি রোপণ করেও তেমন বেশি একটা লাভ হবে না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, রোপণ মৌসুমে শ্রমিক মজুরি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা জমি রোপণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তবে ফলন ভালো হলে কৃষক তেমন লোকসানের মুখে পড়বেন না বলেও তিনি জানান








