রাঙ্গুনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দাদি-নাতনির মৃত্যু

ভোরের শান্ত সকাল মুহূর্তেই পরিণত হয় শোকাবহ দৃশ্যে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের কাদিরাপাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে ছয়টি কাঁচা বসতঘর।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন- মৃত রুহুল আমিনের স্ত্রী রুমি আক্তার (৫৫) এবং তার নাতনি জান্নাত (৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধারকালে দাদির কোলে জড়িয়ে ছিল ছোট্ট জান্নাত, যেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাদি চেষ্টা করেছেন আগুনের লেলিহান শিখা থেকে নাতনীকে রক্ষা করতে।
স্থানীয় সূত্র ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম নগরী ও রাঙ্গুনিয়ার দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে ঘরের ভেতরে আটকা পড়া দাদি–নাতনির প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এই অগ্নিকাণ্ডে মোহাম্মদ কায়েস আহম্মেদ, মনসুর, মইনুল আহম্মেদ, এসকান্দর, শিরীন আক্তার ও সংজি—এই ছয়জনের মালিকানাধীন বিভিন্ন পরিমাপের ছয়টি কাঁচা বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। এতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন রাঙ্গুনিয়ার কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন জানান, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও দুঃখজনকভাবে ঘরের ভেতরে থাকা দুইজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
উদ্ধারকালে দাদির কোল থেকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুটিকে, এই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন উদ্ধারকর্মী ও এলাকাবাসী। পুরো কাদিরাপাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।








