সচিবালয়ে সাত কলেজের ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত চূড়ান্ত ও অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবার সচিবালয়ে যান আলোচনার উদ্দেশ্যে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ২৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার এবং শিক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে যান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- মো. নাঈম হাওলাদার, তানজিমুল আবিদ, রবিন, রিয়াজ উদ্দিন, ফাহাদ, ফরহাদ, পাভেল, ইউসা বিন আলম, মারুফ, ইউনুস, জাফরীন, ইমু, স্মৃতি, সামান্তা, আসফিয়া, রবিউল চোকদার, সৈকত, সাবরিনা, আওলাদ, রবিউল্লাহ, সুমি, মুত্তাকী ও মাসুম।
বিজ্ঞাপন
সচিবালয়ে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের অন্যতম প্রতিনিধি মো. নাঈম হাওলাদার। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য সংঘাত নয়, সমাধান। আমরা সরকারের সঙ্গে বসে জানতে চাই, কখন ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ চূড়ান্ত হবে এবং অধ্যাদেশ জারি করা হবে।”
ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা রাস্তায় বসে আছি প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায়। সাত কলেজকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনার ঘোষণা অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা কাটাতে এখনই সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দরকার।”
এর আগে সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
বিজ্ঞাপন
অবস্থান কর্মসূচির কারণে শিক্ষা ভবন থেকে সচিবালয়গামী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে পুলিশ ব্যারিকেড বসায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নাম নির্ধারণ করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকবে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আইন চূড়ান্ত ও অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় তাদের পড়াশোনা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তারা আশা করছেন, সচিবালয়ের বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির দ্রুত সমাধান আসবে।