র্যাগিংয়ের অভিযোগে জাবির ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগিংয়ের ঘটনায় বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নম্বর (ছাত্র) হলে নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরপরই এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের নবীন (৫৪তম ব্যাচের) শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং চালিয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নির্দেশে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৪ (১)(খ) অনুযায়ী অভিযুক্ত ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম ও উশান্ত ত্রিপুরা।
এছাড়া ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সহকারী প্রক্টর ড. মো. আল-আমিন খান এবং সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফ। কমিটিকে আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগীদের বর্ণনা অনুযায়ী, নবীনদের প্রথমে রফিক-জব্বার চত্বরে ডেকে পরে ওই কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলা হয় এবং কক্ষের আলো নিভিয়ে প্রায় ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এসময় সিনিয়ররা নানা প্রশ্ন করে ও শৃঙ্খলা মেনে চলার নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরপরই প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত শুরু করে।