রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৩ শিক্ষার্থী আহত

দুর্বৃত্তদের হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজনের হাত কেটে গেছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের কাজলা গেট সংলগ্ন ‘কাজলা ক্যান্টিন’ নাম একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের ফারাবি, একই বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের তামজিদ আহমেদ বখশি ও নাট্যকলা বিভাগের মিনহাজ।
ফারাবি মাদার বখস হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী ছিলেন। তবে ছাত্রজনতার কোটা বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে ১৬ জুলাই ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন ফারাবি।
বিজ্ঞাপন
দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে কিছু শিক্ষার্থী। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, জনসম্মুখে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? অবিলম্বে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কাজলায় খাবার হোটেলে দুর্বৃত্তরা ফারাবিকে মারধর শুরু করলে তাদের ঠেকাতে আসেন ফাইনান্স বিভাগের বখশি, রয়ন, মঈনুদ্দিন ও নাট্যকলা বিভাগের মিনহাজ।
এ সময় দুর্বৃত্তদের আঘাতে ফারাবি, মিনহাজ ও বখশি আহত হন। মিনহাজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ফারাবিও আহত অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি। আহত বকশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আহত শিক্ষার্থী তামজিদ আহমেদ বখশি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা প্রায় ১০টি মোটরসাইকেলে হেলমেট ও মাস্ক পরে এসে হোটেলের ভেতর থেকে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। মারধর করতে করতে তারা আমাকে রিকশায় তোলে এবং সুইটের মোড় এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কারও মোবাইলে ফোন আসে।
তখন একজন বলে, ‘আসল ডাকে ধরেছি, তাকে ছেড়ে দে।’ পরে তারা আমাকে আধা ঘণ্টা হাঁটিয়ে নিয়ে যায় এবং হুমকি দিয়ে বলে, ‘তোকে ছাড়ছি, কিন্তু আমাদের পিছনে আসবি না।’ এরপর কাজলা মোল্লা স্কুলের পেছনে আমাকে ফেলে রেখে যায় এবং বলে, ‘আমরা যাওয়ার পর তুই বের হবি।’ তারা আরও বলছিল, ‘ও ছাত্রলীগ, ওরে ধর।’
বিজ্ঞাপন
সিজান নামের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কাজলা ক্যান্টিনে খাওয়ার সময় হঠাৎ ৩-৪টি মোটরসাইকেলে মুখ ঢাকা ও হেলমেট পরা কিছু লোক এসে আমাকে ‘তুই ছাত্রলীগ করিস’ বলে কলার ধরে ফারাবিকে মারধর শুরু করে। কয়েক মিনিট পর ২০২৩-২৪ সেশনের বখশি তাকে থামাতে গেলে তাকে নিচে ফেলে মারধর শুরু করে। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে কোথাও চলে যায়। আমরা এক ঘণ্টা পর তার খবর পাই।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ মুহূর্তে দুর্বৃত্তদের কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশসহ আমরা মূল ঘটনা ও জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছি।’








