গাকৃবির ২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) উৎসবমুখর আবহে পালিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বেলুন উড়িয়ে তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা ঘোষণা করেন।
১৯৯৮ সালে ইপসা থেকে দেশের ১৩তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে গাকৃবি। দুই যুগ পেরিয়ে এখন প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়েও সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে।
বিজ্ঞাপন
টিএইচই র্যাঙ্কিং ২০২৫–২৬–এর বিভিন্ন সূচকে শীর্ষ অবস্থান, উরি র্যাঙ্কিং ২০২৫–এ জাতীয়ভাবে প্রথম হয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বে ৭৭তম স্থান অর্জন এবং সাম্প্রতিক কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি—এসবই গাকৃবির অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা।
টানা তিন বছর ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে প্রথম হওয়াও যুক্ত হয়েছে অর্জনের তালিকায়। পাশাপাশি গাকৃবির গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন ৯৩টি নতুন ফসলের জাত ও ২০টির বেশি উন্নত প্রযুক্তি।
সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণিল র্যালি বের হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণে র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে ৩৬ জুলাই চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপাচার্য, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ ও রেজিস্ট্রার মো. আবদুল্লাহ মৃধা।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, “গাকৃবি এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরও এগোবে। ২৮ বছরের অর্জন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য শক্ত ভিত। আমরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের অগ্রনায়ক হতে চাই। এজন্য প্রয়োজন একটি আধুনিক, মানবিক ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়।”
আলোচনা সভা শেষে ‘ক্যাম্পাস মোমেন্টাম’ অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। জোহরের পর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া আর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে দিবসের উদযাপন আরও রঙিন হয়ে ওঠে।








