ধামরাইয়ে সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু

ঢাকার ধামরাইয়ে খোলা সেপটিক ট্যাংকিতে পড়ে রাহিম ও ইয়াছিন নামে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের একজনের বয়স ৫ বছর অপরজন সাড়ে তিন বছর। তারা দুজনে সম্পর্কে মামাতো ফুপাতো ভাই। ইয়াসিনের বাবার নাম সুমন আর রাহিমের বাবার নাম শাকিল।
বিজ্ঞাপন
মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো রাহিম আর ইয়াসিনের বাবা মা একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। এঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার (১৭ই অক্টোবর) রাতে পৌরশহরের ছোট চন্দ্রাইল মহল্লায় একটি ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে রাহিম ও ইয়াছিন একসঙ্গে খেলতে বের হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যু
বিজ্ঞাপন
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে প্রতিবেশীর একটি ভবনের খোলা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে শিশু দুটির সন্ধান মেলে। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা মিলে সেপটিক ট্যাংক থেকে তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তারা ওই খোলা সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে দুজনে একসাথে ভাত খেয়ে খেলতে বের হয়। সন্ধ্যা নেমে এলেও দুজনে যখন আর বাড়ি ফিরে আসেনি তখন থেকেই পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও যখন ওদের পাওয়া যায়নি তখন রাস্তার পাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সকলেই নিশ্চিত হন যে তারা বাড়ি থেকে খুব দুরে যায়নি। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
ইয়াসিনের মা জানান, ছেলে ভাত খেয়ে খেলতে গিয়ে আর বাড়ি আসেনি। সে প্রতিদিন বিকেলে ঘুমায়। আজ সে এমন ঘুম ঘুমালো তাকে আর জাগানো যাচ্ছে না। ছেলেকে কোথায় পাবে এমন প্রশ্নে পুরো এলাকা যেন শোকের ছায়ায় অন্ধকার।
রাহিমের মা জানায়, মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো রাহিম। আজ রাতের গাড়িতে তারা চলে যাবে বাড়ি কিন্তু সে যাওয়া যে ওপারে চলে যাওয়া হবে তা কি কেউ জানতো। ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা রাহিমের মা।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।