টঙ্গীতে গুলি ও ছুরিকাঘাতে ১৪ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি টঙ্গী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। টঙ্গীতে মোটর সাইকেল আরোহী দুই বিকাশ এজেন্টের প্রতিনিধিকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে প্রায় ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বিকাশ এজেন্টের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও আজাদ।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানার একটি ব্যস্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ ঘটনা প্রমাণ করে যে টঙ্গীর নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৭টা ১৫ মিনিটের মধ্যে বিকাশ এজেন্ট প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও আজাদ মোটর সাইকেলযোগে আনারকলি রোডস্থ মেসার্স টঙ্গী স্যানিটারী এন্ড হার্ডওয়্যার এর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় পায়ে হেঁটে আসা অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন দুষ্কৃতিকারী তাদের মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে এবং তাদের সাথে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ভিকটিমদ্বয় বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা চরম নৃশংসতা দেখায়।
ছিনতাইকারীরা আরিফ হোসেনের বুকের ডান পাশে গুলি করে এবং বাম পাশে ধারালো চাকু দ্বারা গুরুতর আঘাত করে। অপর প্রতিনিধি আজাদকেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে। এরপর তাদের সাথে থাকা বিপুল পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতিকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ভিকটিমদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার মতো সময়ে, একটি জনবহুল রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে এবং ছুরিকাঘাত করে এমন ভয়াবহ ছিনতাইয়ের ঘটনা নিঃসন্দেহে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী অঞ্চলের টহল ও নজরদারি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। যেখানে বিকাশ এজেন্টের মতো আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিনিধিরা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চলাচল করেন, সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশি নজরদারি ও টহল কেন ছিল না? স্থানীয় সাধারণ জনগণ এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বা দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই এমন দুঃসাহসিকতা দেখানোর সাহস পাচ্ছে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে টঙ্গীতে শুধু চুরি বা ছোটখাটো অপরাধ নয়, সশস্ত্র ও সহিংস অপরাধ চরম আকার ধারণ করেছে। জিএমপি কমিশনার কি এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত, অপরাধীদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। একই সাথে, তারা টঙ্গী এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এবিষয়ে জিএমপি'র টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। অভিযান অব্যাহত আছে।








