Logo

রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য নতুন কাঠামোর আহ্বান জানালো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০:৪১
3Shares
রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য নতুন কাঠামোর আহ্বান জানালো আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল
ছবি প্রতিনিধি।

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গঠনের আহ্বান জানিয়েছে জাস্টিস ফর অল-এর বার্মা টাস্ক ফোর্স নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ – দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে দীর্ঘ গবেষণা ও সাম্প্রতিক মাঠপরিদর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে।

মূল তিনটি প্রস্তাব

১. রোহিঙ্গা শিক্ষার জন্য একটি একীভূত জাতীয় নীতিমালা নির্দেশনা জারি করা।

বিজ্ঞাপন

২. একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত করবে।

৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোকে শিক্ষা উদ্যোগে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া, যাতে বিপুল পরিমাণ দাতব্য সম্পদ ও দক্ষতা কাজে লাগানো যায়।

সম্মেলনের মূল বক্তারা হলেন, নাদিন মাঞ্জা, সাবেক চেয়ার, মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (USCIRF) রিচার্ড রিওচ, সাবেক মুখপাত্র, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সামীর হোসেন, সাবেক নীতিনির্ধারণ পরামর্শক, হোয়াইট হাউস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, ইমাম আব্দুল মালিক মুজাহিদ, চেয়ারম্যান, বার্মা টাস্ক ফোর্স ইউএসএ এবং প্রেসিডেন্ট, জাস্টিস ফর অল

বিজ্ঞাপন

ইমাম আব্দুল মালিক মুজাহিদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা অনন্য। এখন প্রয়োজন শিক্ষার সেতু নির্মাণের—একটি স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যেন রোহিঙ্গা শিশু, বিশেষ করে মেয়েরা, ভবিষ্যৎ থেকে বঞ্চিত না হয়।

নাদিন মাঞ্জা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে শিক্ষা দেওয়া শুধু মানবিক কাজ নয়, এটি একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। অশিক্ষিত প্রজন্ম নির্ভরতা ও অনিরাপত্তা বাড়াবে, কিন্তু শিক্ষিত প্রজন্ম শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে তুলবে।

রিচার্ড রিওচ বলেন, শিক্ষা হলো গণহত্যার ভয়াবহতার মধ্যে বন্দি তরুণদের জন্য জীবনরক্ষাকারী পথ। তাদের খাদ্য ও পানির মতোই শিক্ষা প্রয়োজন, কারণ এটি মানসিক যত্ন ও নতুন জীবনের সুযোগ এনে দেয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা নারীদের শিক্ষা বিষয়ে এক জরিপের তথ্যও উপস্থাপন করে। এতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা স্কুল-যুগের জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ নারী হলেও, তাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।

প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (RRRC) দপ্তরের উন্মুক্ত সহযোগিতা ও মাঠপরিদর্শনে সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

শেষে ইমাম মুজাহিদ বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করতে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বার্ষিক দানশীলতা রোহিঙ্গা শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে কাজে লাগে।

বিজ্ঞাপন

সংস্থার পরিচিতি, জাস্টিস ফর অল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে। তাদের বার্মা টাস্ক ফোর্স গত এক দশকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও নীতি প্রভাব তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ মুসলমান বসবাস করেন। তারা প্রতিবছর যাকাত ও সদকার মাধ্যমে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার দান করেন, যার একটি অংশ রোহিঙ্গা শিক্ষায় কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

জেবি/এসডি
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD