Logo

শেখ হাসিনাকে ‘ছোটখাটো হিটলার’ আখ্যা দিলেন মাহমুদুর রহমান

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২০:৫১
7Shares
শেখ হাসিনাকে ‘ছোটখাটো হিটলার’ আখ্যা দিলেন মাহমুদুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ছোটখাটো হিটলার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তার মতে, শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতার অপব্যবহারই করেননি, বরং মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মানসিকভাবে হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। একই দিনে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া তার সাক্ষ্যেও তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, হিটলার যেমন লাখো মানুষ হত্যা করেছিলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় একই ধরনের দমন-পীড়ন চালান। তবে পার্থক্য হলো- হিটলার লাশ গুম করার কথা বলেননি, অথচ শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষ হত্যা করে গুম করার সংস্কৃতি চালু হয়। তার মতে, “মানসিক দিক থেকে হাসিনা হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছেন।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচারী সরকার গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা ছাড়েনি। মিশর, তিউনিশিয়া কিংবা বাংলাদেশের এরশাদ পতনের মতো আন্দোলনেই তাদের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও জনগণ একই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।”

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান -এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতে শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উঠে এসেছে। এ কারণেই জনগণ আজ বলছে ‘নেভার এগেইন’ - যেন আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসক এ দেশে ক্ষমতায় না আসে।

বিজ্ঞাপন

তিনি অভিযোগ করেন, ১৫ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। সেই সময় অন্তত ১,৪০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এই পরিবারগুলো আজও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় আছে।

পরবর্তী সরকারগুলোকে সতর্ক করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার যেন শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ না করে। তাদের দুষ্কর্ম থেকে শিক্ষা নিতে হবে, যাতে আবারও দেশ ফ্যাসিবাদে নিমজ্জিত না হয়।”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফ্যাসিবাদের উত্থান, বিকাশ ও পতনের সাক্ষী ছিলেন। লেখালেখি ও বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। এবার রাষ্ট্রের নাগরিক দায়িত্ব হিসেবে তিনি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যাতে অপরাধীরা শাস্তি পায় এবং ভবিষ্যতে কোনো সরকার যেন দমন-পীড়নের পথে হাঁটতে সাহস না করে।

সেদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ বেলা পৌনে ১২টায় শুরু হয়। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন জেরা শুরু করলেও তা শেষ হয়নি। ফলে শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ একাধিক প্রসিকিউটর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD