তত্ত্বাবধায়ক বাতিলের রায় থেকেই দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার শুরু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ই দেশে রাজনৈতিক সংকটের সূচনা ঘটিয়েছে বলে আপিল বিভাগকে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ত্রয়োদশ সংবিধান সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) সংক্রান্ত আপিলের ষষ্ঠ দিনের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর টানা পঞ্চম দিনের শুনানি শেষে আপিলের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আদালত। পরে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন নাগরিক, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার পৃথকভাবে আপিল দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজন করে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করা হয়। কিন্তু এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট এ রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা দেয়।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। সেই রায় প্রকাশের পর একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে আপিল বিভাগে চলমান এই পুনর্বিবেচনা শুনানির মধ্য দিয়েই আবারও দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আলোচনায় এসেছে।








